কচুয়ার রাজনীতিতে নতুন শক্তির উত্থান – নতুন মেরুকরণ

কিছু মানুষের কথা শুনলে মনে হয়, মানুষ কিভাবে এতো নিচে নামতে পারে? তাদের চরিত্রে কি নৈতিকতার লেশমাত্র নেই ? সামান্য স্বার্থের জন্য তারা যা ইচ্ছে তাই বলতে পারে ? কেউ কেউ পছন্দ করুক বা না করুক, এটি আজ কচুয়ায় প্রতিষ্ঠিত যে, কচুয়ার রাজনীতিতে নতুন শক্তির উত্থান ঘটেছে l এটিই আওয়ামী রাজনীতির মূলধারা – জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রদর্শিত ধারা l এর আগে কচুয়ার রাজনীতি কাদের হাতে ছিল ? কচুয়ায় বিগত তিন দশকে কারা সুবিধাভোগী ছিল ? কচুয়ার আওয়ামী রাজনীতির মূল ধারার কেও কি সুবিধাভোগী হতে পেরেছিলো ? বর্তমানে কচুয়া আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ ঘটেছে l এই মেরুকরণের ভিত্তি হচ্ছে আদর্শিক এবং এই মেরুকরণ প্রকৃতপক্ষে মূলধারার সকল নেতা-কর্মীকে নিয়ে l এই ঐক্য কচুয়ার প্রকৃত আওয়ামী রাজনীতির কাউকে বাদ দিয়ে নয় l তবে যারা পেশাদারভাবে সুবিধাবাদী এবং নিজের সামান্য সুবিধার জন্য সকাল- বিকাল পক্ষ পরিবর্তন করে, তাদেরকে বাদ দিয়েই কচুয়ার এই রাজনৈতিক ঐক্য l নানা সময়ে মানুষের ভুলত্রুটি থাকতেই পারে l রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এই ভুলত্রুটি মেনে নিয়েই সামনের দিকে এগুতে হয় l কিন্তু যারা সবসময়ই উচ্ছিষ্টভোগী, যারা কেবল নিজের স্বার্থেই সকাল বিকাল জার্সি পরিবর্তন করে, কচুয়ার এই নতুন মেরুকরণে তাদের জায়গা নেই l

গত দেড় বছর ধরে যারা কচুয়ার রাজনীতি পর্যবেক্ষণ করছেন, তারা নিশ্চয়ই এই পরিবর্তন – এই নয়া রাজনৈতিক মেরুকরণ দেখতে পাচ্ছেন l কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব এখন কোন দিকে ? উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, পৌর যুবলীগের সভাপতি কোন দিকে ? উপজেলা ছাত্র লীগের কমিটি কার নিয়ন্ত্রণে ? উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে বিরোধ হলে সেটি কার সুপারিশে নিস্পত্তি হয় ? কচুয়ার চাকুরী প্রার্থী তরুণ সমাজ বর্তমানে কার কাছে ছুটে যায় ? গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে কচুয়ার মানুষের পাশে কোন রাজনৈতিক নেতা ছিল ? তিনি কতোবার কচুয়ায় ছুটে গেছেন নানা সহযোগিতা নিয়ে ? কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাই ফ্লো অক্সিজেন কেনোলা সহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অক্সিজেন সিলিন্ডার হস্তান্তর, লকডাউনে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিভিন্ন সময়ে খাদ্য সামগ্রী সহায়তা, সাড়ে নয় হাজার কম্বল বিতরণ (২০২০ সালে ২০০০ এবং ২০২১ সালে ৭৫০০ কম্বল) সহ আরও অন্যান্য সহায়তা কচুয়ায় কার নেতৃত্বে হয়েছিল ? এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর কচুয়ার রাজনৈতিক সচেতন সকলেরই জানা আছে l

৪ঠা জানুয়ারী তে কারা সেদিন কচুয়ায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর প্রোগ্রাম ভণ্ডুল করতে চেয়েছিলো ? কারা রাতের অন্ধকারে অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলে কাপুরুষের মতো হামলা করেছিল ? তারা কি টিকে থাকতে পেরেছিল ? কচুয়ায় কি ছাত্রলীগের ইতিহাসের সবচেয়ে বড়ো সবাবেশ সেদিন হয় নাই ? ষড়যন্ত্রকারীরা সেদিন কোথায় পালিয়েছিলো ? উপজেলা ছাত্র লীগের কমিটি নিয়ে কতোনা ষড়যন্ত্র হয়েছিল l এই কমিটি ভেঙে দেয়া হবে – এই কমিটি থাকবে না, এই কমিটি কে প্রতিহত করা হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি l এটি নিশ্চয়ই কচুয়ার সবাই জানেন যে, সমগ্র চাঁদপুর জেলায় কেবলমাত্র কচুয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছিল l জেলার অন্য কোন উপজেলায় কেও কোন কমিটি করতে পারে নাই l এটিই কচুয়ার নতুন রাজনৈতিক শক্তির অবদান l কচুয়া ছাত্রলীগ এখন আর কোন অপশক্তির কাছে জিম্মি নয় l

এটি একটি হাস্যকর বিষয় যে, যাদের নামের সাথে আজীবনের জন্য “শিবির” খেতাব রয়েছে, তারাও নির্লজ্জের মতো রাজনৈতিক বক্তব্য দেয় l হাস্যকরভাবে
তারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের হুমকি দিচ্ছে ফেসবুকে l তাদের জানা উচিত, গত অক্টোবরে কচুয়ার দুটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে কি হয়েছিল l সেই নির্বাচন কার নির্দেশনায় পরিচালিত হয়েছিল l সেই নির্বাচনে মোট কয়টি শক্তি এক হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদেরকে হারাতে চেয়েছিলো l তারা সেদিন সবাই এক হয়ে সফল হতে পেরেছিলো কিনা – কচুয়ার কোন নেতৃত্ব সেদিন এই অশুভ রাজনৈতিক মেরুকরণকে পরাস্ত করেছিল- এই সকল প্রশ্নের উত্তর সবারই জানা l

আবার কচুয়ার মেয়র নির্বাচনের মনোনয়নে কে মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলো, কার জোরালো ভূমিকার কারণে ঐ নিবাচনে নিস্কন্টকভাবে আমাদের মেয়র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিল – এই বিষয়গুলোও কচুয়ার সবারই জানা l

কচুয়ায় বিভক্ত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ কে নিয়েছেন ? কারা তাদেরকে নিজেদের স্বার্থে বিভক্ত করে রেখেছিলো ? কচুয়ার দুই নেতা মেয়র নাজমুল আলম স্বপন এবং ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম কার পরামর্শে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন ? তারা এক হওয়াতে কাদের স্বার্থহানি হলো ? তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের সাথে সমন্বয় রেখে কাজ করে যাচ্ছেন l ছাত্র লীগের কমিটি তাদের সবার পরামর্শে গঠনমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে l কচুয়ার সকল ইউনিয়ন ও এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব কাজ করে যাচ্ছে l কচুয়ায় যে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ ঘটেছে, এই মেরুকরণের মূল ভিত্তিই হচ্ছে জাতির পিতার আদর্শ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা l এর বাইরে কচুয়ার আওয়ামী রাজনীতিতে অন্য কিছু নেই – অন্য কিছু থাকতে পারে না l এছাড়া কচুয়ার মানুষ ইতোমধ্যে জেনে গেছেন, রাষ্ট্রীয় কিংবা আঞ্চলিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় কচুয়ার কোন নেতার প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা রয়েছে l তারা এটিও জানেন, কোন নেতা কচুয়ার মানুষের উন্নয়নের জন্য ভূমিকা রাখার সক্ষতা রাখেন এবং তারা এটিও জানেন, কার সেই আন্তরিকতাও আছে l

তবে কিছু লোক ইতোমধ্যে তাদের বহুমাত্রিক চরিত্রের কারণে মূল রাজনৈতিক ধারা থেকে ছিটকে পড়েছে l তারাই নিজেদের বর্তমান অবস্থান থেকে কিছু সুবিধা পাওয়ার জন্য ফেসবুকে লেখা লেখি করছে l বর্তমানে তাদের কোন রাজনৈতিক অস্তিত্ব নেই l কচুয়ার রাজনৈতিক মাঠে তাদের কোন অবস্থান নেই l তারা শুধু ফেসবুকে বেঁচে আছে l আর মাঝে মাঝে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে l