পথভ্রষ্টরা সাবধান !

কচুয়ার এক নেতা ফেসবুক পোস্টে লন্ডনে চিকিৎসাধীন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলমকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন l চিকিৎসাধীন নাজমুল আলমের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি l তার জন্য মন থেকে দোয়া করছি l কিন্তু তার একটা ছবি দিয়ে ঐ ব্যক্তি যেভাবে তাকে নিয়ে মিথ্যা মায়াকান্যা করেছে, তাতে মনে হয়, নাজমুলকে সরকার দেশ থেকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে কিংবা নাজমুল আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনে নিষ্পেষিত l এই প্রসঙ্গে বাস্তব চিত্র তুলে ধরে দুই একটা কথা বলতে চাই l

নাজমুল লন্ডনে চিকিৎসাধীন, সেখানেই তার সফল ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে l বাংলাদেশের কতজনের ভাগ্য হয় লন্ডনে চিকিৎসা পাওয়ার? একজন প্রাক্তন ছাত্রনেতার একটা কান্নার ছবি দিয়ে দল ও সরকারের বিরুদ্ধে এক ধরণের বিষোদ্গার করার ইঙ্গিত রয়েছে এই পোস্টের বক্তব্যে l নাজমুলের ছবির প্রাসঙ্গিকতাটা কি ? এই ছবিটা একজন চিকিৎসাধীন মানুষের কান্নার ছবি l এই কান্নার মাধ্যমে তিনি সকলের দোয়া ও সহানুভূতি চাইছেন l এর বাইরে আর কিছু নয় l

নাজমুলকে সরকার জোড় করে লন্ডনে পাঠায়নি l তিনি স্বেচ্ছায়, স্বপ্রনোদিত হয়ে লন্ডনে গেছেন l আর লন্ডনে নাজমুল কোন ক্যাটেগরির ভিসা নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন, সেই ভিসা পাওয়ার জন্য কী কী শর্ত পূরণ করতে হয়- আমরা কি সেই বিষয়গুলো জানি ? কচুয়ার ঐ ব্যক্তির লেখায় মনে হচ্ছে, নাজমুল একটা গোবেচারা- হাবাগোবা ছেলে যার ত্যাগের বিনিময়ে আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় l তিনি এটি বোঝাতে চাচ্ছেন, আওয়ামী লীগের কাছে ত্যাগী নাজমুলের কোন মূল্যায়ন নেই l এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল l মূল্যায়ন করা হয়েছিল বলেই নাজমুল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিল l প্রকৃত সত্য হচ্ছে, নাজমুল গোবেচারা কিংবা হাবাগোবা কেও ছিল না l তার ইচড়েপাকা আচরণ ও চলাফেরার কারণে কিছু পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে, নাজমুল একটি বেসরকারি ব্যাংকের (ফার্মার্স ব্যাংক) উদ্যোক্তা এবং শেয়ারহোল্ডার l এই ধরণের খবরের সত্যতা আমাদের জানা নেই l একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে, কারো ব্যক্তিগত কার্যক্রমের দায়ভার দল নিবে না, নিতে পারে না l বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এই বিষয়ে বার বার সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন এবং সেই নির্দেশনা বাস্তবায়িতও হয়েছে l

কচুয়ার ঐ ব্যক্তি ফেসবুকে এই ধরণের লেখালেখি করে কারো কারো ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাইছেন l এই সকল ব্যক্তি বোকার স্বর্গে বাস করছে l
দল ও নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে কেও টিকে থাকতে পারেনি কখনো l একটা কথা মনে রাখা দরকার l আওয়ামী লীগ এবং তার সরকার এতো ঠুনকো নয় যে, কেও কিছু লিখলেই দল ও সরকার নড়বড়ে হয়ে যাবে l বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যে কয়েকজনকে তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে অধিষ্ঠিত করেছেন, তাদের অবদান ও যোগ্যতা নিয়ে যে ব্যক্তি প্রশ্ন তুলে, বঙ্গবন্ধু কন্যা ও আওয়ামী লীগের আদর্শের প্রতি তার সত্যিকারের আনুগত্য নেই এটি পরিষ্কার l এই ধরণের প্রতি বিপ্লবীরা যুগে যুগে হারিয়ে গেছে l বাংলাদেশেই এর বহু নজির রয়েছে l বঙ্গবন্ধুর সময় রব- শাজাহান সিরাজরা এভাবেই কথা বলতো l এর পরের জেনারেশনে মান্নারাও একইভাবে কথা বলেছে l তারা আজ রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে l দলের নেতৃত্বকে যারাই চ্যালেঞ্জ করেছে, তাদের পতন হয়েছে l

পরিশেষে নাজমুলের দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করি l