বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড নিয়ে গবেষণাপত্র প্রণয়ন প্রতিযোগিতা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড, এর ষড়যন্ত্র ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে প্রথমবারের মতো গবেষণাপত্র প্রণয়ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটি।

বুধবার (১১ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, জাতির পিতার হত্যার ষড়যন্ত্রকারী কারা, এই হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী কারা, হত্যাকাণ্ডে বাঙালি জাতি ও রাষ্ট্রের কী ক্ষতি হয়েছে, বিচাররহিতকরণে রাষ্ট্র ও মানবতার কী ক্ষতি হয়েছে- এসব বিষয়ে জাতির স্বার্থে ও ইতিহাসের দাবির আলোকে আইনি, সাংবিধানিক, আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অধিকতর তথ্যানুসন্ধান ও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

দুটি গ্রুপে গবেষণাপত্র প্রণয়ন প্রতিযোগিতা-২০২১ আয়োজন করা হয়েছে।

গ্রুপ ক

বিষয় : সপরিবারে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড এবং এর বিচাররহিতকরণে জাতি ও রাষ্ট্রের ক্ষতি : আইনি, সাংবিধানিক, আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক মূল্যায়ন।
প্রতিযোগী : দেশে-বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আইনের ছাত্রছাত্রী
গবেষণাপত্রের আকার : সাত হাজার শব্দ (সর্বোচ্চ)

গ্রুপ খ

বিষয় : জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী ও সুবিধাভোগীদের তথ্যানুসন্ধান : ঐতিহাসিক দলিলাদির আলোকে বিশ্লেষণ।
গবেষণাপত্রের আকার : ১০ হাজার শব্দ (সর্বোচ্চ)
প্রতিযোগী : শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক ও অন্যান্য পেশাজীবী

গবেষণাপত্রের রেফারেন্সিং স্টাইল হতে হবে অক্সফোর্ড, ভাষা হবে বাংলা অথবা ইংরেজি। গবেষণাপত্র পাঠানোর শেষ তারিখ আগামী ৩১ আগস্ট।

গবেষণাপত্র মূল্যায়নে বিচারক হিসেবে থাকবেন বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী, সাবেক বিচারক, আপিল বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্ত, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আশফাক হোসেন।

প্রতিটি গ্রুপের সেরা পাঁচটি গবেষণাপত্র রচয়িতাদের জন্য বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা রয়েছে। গবেষণাপত্র পাঠানোর ঠিকানা: তথ্য ও গবেষণা উপকমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সভাপতির কার্যালয় (নতুন বিল্ডিং) বাড়ি-৫৩, রোড-৩/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯। গবেষণাপত্রের সফট কপি ইমেইলে পাঠাতে বলা হয়েছে। ই-মেইল: Isrcalbd@gmail.com।